রাজশাহী বুরো: জুয়েল আহমেদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য বিদায়ী উপাচার্য এম আবদুস সোবহান নিজ ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় তার পেছনে অন্য কারও প্রভাব পাওয়া না গেলেও অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত কাজ শেষ করেছি। সেখানে উপাচার্যের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা প্রতিবেদন তৈরি করছি। আগামী সপ্তাহে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
জানা গেছে, আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সুপারিশ করবেন। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে।
উপাচার্য কেন নির্দেশনা অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ কার্যকর করেছেন তার কারণ খতিয়ে দেখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এর পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে কি না, তাও দেখতে বলা হয়। গত ৬ মে চার সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, রাবি উপাচার্য নিজ ক্ষমতাবলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহায়তায় নিয়মবহির্ভূত উপায়ে ১৩৮ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। সেই নিয়োগপত্রে বর্তমান রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রার সই করেননি।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জনবল নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন আবদুস সোবহান। তার সঙ্গে কারা জড়িত, কেনই বা তিনি নির্দেশনা অমান্য করে নিয়োগ দিয়েছেন সেসব বিষয় খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে।
তারা বলেন, চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সরেজমিনে গিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সেসব কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। উপাচার্য নিজ ক্ষমতাবলে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৭ মে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান এম আবদুস সোবহান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যোগ্যতা শিথিল করে মেয়ে-জামাতাকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করেছিলেন।
Leave a Reply