মানুষ মাত্রয় সমস্যায় পড়বে এটাই স্বাভাবিক আর এই নানবিধ সমস্যার কারনে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়ে থাকি। তখন থানায় গিয়ে জেনারেল ডায়েরী (সংক্ষেপে যাকে আমরা জিডি বলি) করে থাকি।
আবার অনেক কারনেই কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা থানায় লিখিত আকারে পুলিশকে জানিয়ে থাকি এবং তাদের সহায়তার আবেদন করে থাকি। কিন্তু কিভাবে আমরা থানা থেকে সেই সহযোগিতা নিতে পারি বর্তমান যুগে এসেও তা অনেকেরই অজানা।
আমাদের যে কোনো মূল্যবান জিনিস হারালে যেমন- সার্টিফিকেট, দলিল, লাইসেন্স, পাসপোর্ট, গুরুত্বপূর্ন রশিদ, চেকবই, ক্রেডিট কার্ড, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ইত্যাদি। এছাড়া কোনো প্রকার হুমকি পেলে বা হুমকির আশংকা থাকলে কিংবা কেউ নিখোঁজ হলেও আমাদের থানায় গিয়ে জিডি করতে হয়।
সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয় না সেসব ক্ষেত্রেই থানায় জিডি করা যায়। জিডি করার কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নতুন করে হারানো কাগজ তুলতে হলেও জিডির কপির প্রয়োজন হয়।
এসব ক্ষেত্রে আপনার সর্ব প্রথম কাজ হলো নিকটবর্তী থানাকে জানানো। আর এটি জানাবেন একটি সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে। এ ধরনের জিডি করার অর্থ হলো- বিষয়টি সম্পর্কে থানাকে অবগত করা, যাতে থানা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারে।
এবার আসুন জেনে নেই জিডিতে কী কী উল্লেখ করতে হবে:
১. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে লিখতে হবে এবং থানার নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে।
২. বিষয় : ‘জিডি করার জন্য আবেদন’- এভাবে লিখতে হবে।
৩. অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা করলে জিডিতে আশঙ্কার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
৪. হুমকি দিলে হুমকি দেওয়ার স্থান, তারিখ, সময়, সাক্ষী থাকলে তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৫. হুমকি প্রদানকারী পরিচিত হলে তার/তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৬. অপরিচিত হলে তাদের শনাক্তকরণের বর্ণনা দিতে হবে।
৭. জিডি নথিভুক্ত করে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে।
৮. সর্বশেষ জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও তারিখ লিখতে হবে।
উল্লেখ্য, জিডি দুই কপি করতে হবে। এক কপি নথিভুক্ত করার জন্য থানায় জমা দিতে হবে, আরেক কপি থানার কর্মকর্তার সিল এবং জিডির নম্বর সংবলিত কপিটি যত্ন করে সংরক্ষণ করতে হবে। জিডি করতে থানায় কোনো ফি দিতে হয় না।
জিডি/ জেনারেল ডায়েরি লেখার নমুনা:
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
……. মডেল থানা
জেলা:…….
বিষয়ঃ সাধারন ডায়েরী করার আবেদন।
জনাব,
যথাযথ সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে সাধারন ডায়েরী করার আবেদন করিতেছি যে, গত …/…/… ইং তারিখ …… (সময়) ঘটিকার সময়আমার নিম্নোক্ত বর্ননার মালামাল আপনার থানাধীন ………. হইতে ……. স্থানে যাওয়ার পথে হারিয়ে যায়।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি সাধারন ডায়েরীভুক্ত করিতে মহোদয়ের মর্জি হয়।
হারিয়ে যাওয়া মালামালের বিবরনঃ
১।
2।
3।
যদি মোবাইল হয় তাহলেIMEI
বিনীত
৩। স্বাক্ষর
নামঃ
পিতা/ স্বামীর নামঃ
মাতাঃ
ঠিকানাঃ
থানাঃ
জেলাঃ
মোবাইল নং:
(২ কপি সহ থানার ডিউটি অফিসারের নিকট জমা দিন। ডিউটি অফিসার ইহাতে স্বাক্ষর/ জিডি নং লিখে এককপি আবেদনকারীকে প্রদান করিবেন।)
Leave a Reply