May 19, 2024, 1:54 am

191928thumbnail Brahmanbaria Pic 03 10 1

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইরে সন্তান নিয়ে ক্লাসে স্কুলছাত্রী, কোলে নিয়ে ক্লাস নিলেন শিক্ষক!

Spread the love

বিএসএন নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ে রবিবার থেকে দশম শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয়েছে। ভিন্ন এক কারণে এখন সেটি আলোচনার খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রেণি কক্ষে সন্তান নিয়ে হাজির হয়েছেন এক ছাত্রী। আর ওই শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ক্লাস নিয়েছেন শিক্ষক।

এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সবার নজরে পড়ে। অধিকাংশ নেটিজেনরা এ ঘটনায় শিক্ষকের প্রশংসা করেছেন। তবে ওই স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ে হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কড়া সমালোচনা করেছেন অনেকে।

মোবাইল ফোনে কথা হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ কান্তি প্রতিবেদকে বলেছেন, ‘মেয়েটি পড়াশুনা থেকে যেন উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে সে কারণে আমি তার সন্তানকে কোলে নিয়ে পড়িয়েছি। আমি চাই মেয়েটি পড়াশুনা চালিয়ে যাক। শিশুটিকে আদর করতে গিয়েই আমি কোলে নিয়ে ক্লাস চালিয়ে গেছি।’

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ইমরুল হাসনাত চৌধুরী সৈকত। রবিবার দুপুরে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সন্তান কোলে নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালাচ্ছেন চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক পঙ্কজ মধু স্যার। সন্তান কোলে নিয়ে পাঠে মনযোগী হতে না পারা শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে তিনি এ কাজ করেছেন। স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা।’

241459918 463891231323585 4341412290968155056 n

তিনি আরো লিখেছেন, ‘কিন্তু, আমাদের গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে এখনো পুরোপুরিভাবে বাল্য বিয়ে রোধ সম্ভব হচ্ছে না। এর পুরোপুরি দায় নিতে হবে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থাৎ মেম্বার চেয়ারম্যানের, পরিষদে কর্মরত উদ্যোক্তা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। নিকাহ রেজিস্ট্রারও এর দায় এড়াতে পারে না। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নিশ্চয় ১৮ বছর কিংবা ততোর্ধ্ব না।’

এ লেখাটি অনেকে কপি করে বিভিন্ন গ্রুপ ও নিজেদের আইডিতে দিয়েছেন। সেখানে অনেকেই শিক্ষকের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বাল্য বিয়ে নিয়ে সমালোচনা করেছেন। রৌণক রুবেল নামে একজন লিখেছেন, ‘স্যারের প্রতি আরো রেস্পেক্ট বেড়ে গেলো। তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম। তবে এর চেয়েও অসংগতি এবং দুখের বিষয় হলো দশম শ্রেণির ছাত্রীর বাচ্চাসহ ক্লান করা। … শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আমরা প্রত্যেকেই এগিয়ে আসলেই এই বাল্যবিবাহ নামক মারাত্মক ব্যাধি এবং অন্যায় প্রতিরোধ সম্ভব।’

মুক্তি খান নামে একজন লিখেছেন, ‘এর দায়ভার নিতে হবে ইউনিয়ন পরিষদকে। এদের সঠিক তদন্ত করা উচিত।’


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category