ঈদের পরদিন সকালে নাস্তার টেবিলে তুহিনকে উদ্দেশ্য করে বড়ো ভাই বললো,
-তোকে বলা হয়নি, মুন্নির একটা বিয়ের সম্বন্ধ আসছে রে।ভালো ঘর। সমস্যা একটাই, ছেলে নাকি এইচএসসি পাস। তবে ছেলের বাবা অনেক ধনী মানুষ।মস্তবড় ব্যবসা তার। শুভ্রই বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করে। তা কী করি একটু বলতো ভাই?
তুহিন পরোটা মাংস চিবাতে চিবাতে বললো,
-শুভ্রটা কে?
বড়ো ভাই বললো,
-ওই ছেলের নাম। দুই ভাই ওরা।আমার তোর মত।শোন ওদের বোন টোন নেই।তবে বিরাট বড়লোক, এজন্য খানিক ভয় লাগছে। আমাদের অবস্থা তো তেমন না। বাবা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু করে দিয়েছিলো বলে, আজ নিজেদের থাকার একটা আশ্রয় আছে।এছাড়া তো কিছু নাইরে।
বড় ভাইকে হাতের ইশারায় থামালো তুহিন। তারপর বললো,———
এর পরের অংশ ও আর সুন্দর গল্প পড়তে
পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ‘জুবাইদা পারভিন লিপি’র জীবনধর্মী উপন্যাস ‘জীবনের অষ্টব্যঞ্জন’ ৩০% ছাড়ে প্রি-অর্ডার করা যাবে—
রকমারি, বুকমার্ক, দূরবীণ, ধী, বই নিন সহ সকল অনলাইন বুকশপে।
৩০% ছাড়ে বইটি পেতে অর্ডার করতে পারবেন চলন্তিকা পেইজের ইনবক্সেও। বইয়ের নাম, আপনার নাম, কুরিয়ার এড্রেস ও ফোন নাম্বার দিয়ে ইনবক্স করুন। জীবনের অষ্টব্যঞ্জন জীবনধর্মী উপন্যাস এর মলাটমূল্যঃ ২১০টাকা।
একটি গল্পের পরিসর ছোটো হয় বলে তার শুরুতে চমক না থাকলেও পাঠক অনেক সময় পড়তে থাকেন এই ভেবে যে, এই সামান্য লেখা পড়েই দেখি কী আছে। কিন্তু একটি আস্ত উপন্যাস পড়তে শুরু করতে পাঠককে এটা ভাবতে হয়, এটি শেষ করতে পারব তো? ‘জীবনের অষ্টব্যঞ্জন’, বেশ ভাবগাম্ভীর্য ও খটমটে নামের উপন্যাসটির প্রথম লাইনটি পড়েই প্যারাটুকু শেষ করার তীব্র ইচ্ছা অনুভব করবেন পাঠক। এবং স্বাভাবিকভাবেই পুরোটা উপন্যাসই শেষও করতে হবে।
পিতৃ-মাতৃহীন দুই ভাইয়ের সংসার, সন্তান, এদের পারষ্পরিক সম্পর্ক, সম্পর্কের টক-মিষ্টি-তেতো সফরের উত্থান পতন নিয়েই উপন্যাসটির পথ চলা। এরই মধ্যে একটি ব্যাপার পুরো উপন্যাসেই উঠে এসেছে। তা হলো, পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব, বিশেষ করে সন্তানের জীবন চলার পথে মায়ের আচার-বিচারের অবদান।
কিন্তু উপন্যাসটিকে শিক্ষামূলক উপন্যাস ভেবে নিয়ে পাশে সরিয়ে রাখার অবকাশ একদমই নেই।
কাহিনির বর্ণনাই এমন ঘটনাবহুল যে এটি পড়া শুরু করলে শেষ করার একটা তীব্র ইচ্ছা হবেই।
‘জীবনের অষ্টব্যঞ্জন’ উপন্যাসের লেখক জুবাইদা পারভীন লিপির সার্থকতা এখানেই যে, তিনি তার উপন্যাসটির সেই শুরুর চমক দেখিয়ে পাঠককে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখতে পেরেছেন। উপন্যাসটির নামকরণও অক্ষরে অক্ষরে সর্বৈব সার্থক।
Leave a Reply