প্রয়োজন হলে সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ পাঠানো হবে : উপদেষ্টা নাহিদ


Md. Hasib Uddin প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৩, ২০২৪, ৪:১২ অপরাহ্ন /
প্রয়োজন হলে সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ পাঠানো হবে : উপদেষ্টা নাহিদ
Spread the love

প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবকু আইডিতে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ওই পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ও দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ এবং যে কোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সংগ্রামী ছাত্র-জনতা এবং সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম করে যাচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকায়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীরাও সহযোগিতা করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা দ্রুত দুর্যোগকাল কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ থেকে সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে।’

প্রয়োজন হলে সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ পাঠানো হবে : উপদেষ্টা নাহিদ

তিনি বলেন, তারা নিজেরা দেখতে পারেন যে, আমরা নিজের থেকে গেট খুলে দিতে পারি কি না! সেটা সম্ভব কি না! যে প্রচারটা করা হচ্ছে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া নিয়ে, সেটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু না। গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। জলস্তর এর বেশি উঠলেই একা একাই জল গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। জলস্তর আবার নিচে নেমে গেলে নিজের থেকেই গেট বন্ধ হয়ে যাবে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৩ সালের ২১ আগস্ট ত্রিপুরার সাব্রুমে একদিনে ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড ছিল। আর এ বছর ২০ আগস্ট একদিনে বৃষ্টি হয়েছে ৩৭৫.৮ মিলিমিটার। ঠিক ৩১ বছর পরে একদিনে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পুরো মাসের হিসাব যদি দেখি, আগস্ট মাসের ২১ দিনে স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ২১৪ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৩৮.৭ মিলিমিটার। অর্থাৎ ১৫১ শতাংশের বেশি। এত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এত বড় বন্যা দেখা গেছে।


Spread the love