স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্তির দীর্ঘ ও কঠিন লড়াইয়ের সময় শরীরচর্চা, বিশেষত স্ট্রেনথ এবং এন্ডুরেন্স ট্রেনিং, মানসিক ও শারীরিকভাবে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। চিকিৎসা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ব্যায়াম ক্যান্সার সারভাইভারদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
কেন ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ:
- শক্তি বৃদ্ধি ও ক্লান্তি কমানো: স্ট্রেনথ ট্রেনিং রোগীদের পেশী শক্তি বাড়িয়ে দৈনন্দিন কাজ সহজ করে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
- হাড়ের ঘনত্ব ও পেশী সুরক্ষা: কেমোথেরাপি ও হরমোন থেরাপির কারণে হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পায় এবং পেশীর ক্ষতি হয়। ব্যায়াম হাড় ও পেশী সুরক্ষায় সহায়ক।
- মনের স্থিতিশীলতা: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ব্যায়াম খুবই উপকারী, যা রোগীদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা ক্যান্সার চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় সহায়ক।
স্ট্রেনথ অ্যান্ড এন্ডুরেন্স ট্রেনিংয়ের কিছু সাধারণ উপায়:
- স্ট্রেনথ ট্রেনিং: হালকা ওজনের ডাম্বেল, রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড বা দেহের নিজের ওজন ব্যবহার করে ব্যায়াম।
- এন্ডুরেন্স ট্রেনিং: ধীরে ধীরে হাঁটা, সাইক্লিং, এবং সুইমিং ইত্যাদি শরীরের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
এছাড়া, নিয়মিত ব্যায়াম হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সুস্থ জীবনের জন্য জরুরি। তবে, কোনো ধরনের ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ চিকিৎসা পরবর্তী শরীরের অবস্থা অনুযায়ী ব্যায়াম নির্ধারণ করতে হয়।