সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ নভেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব গোষ্ঠী সিরিয়ায় অবস্থান করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া ওই গোষ্ঠীগুলোর কারণে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অভিযানে অংশ নেওয়া মার্কিন ও যৌথ বাহিনী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গোষ্ঠীগুলোর ভবিষ্যৎ হামলা কিংবা হামলার পরিকল্পনার সক্ষমতার শক্তি নাশ করতেই এ হামলা করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিনিরা।
বাহিনী সিরিয়ার দুই অঞ্চলে অন্তত ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ওপর চালানো কয়েকটি হামলার জবাবে তাৎক্ষণিক এ প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো।
যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান–সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। গত ফেব্রুয়ারিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছিল।
সিরিয়ায় ৯০০ ও ইরাকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনাদল অবস্থান করছেন। মূলত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এসব সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ায় আইএসআইএসের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে তারা। গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ৩৫ জন আইএসআইএস সদস্য নিহত হয়েছেন। মার্কিন বাহিনীর এসব হামলা আইএসআইএসের পরিকল্পনা, সংগঠিত এবং বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন মিত্র এবং অংশীদারদের বিরুদ্ধে পুরো অঞ্চলে এবং এর বাইরে হামলা চালানোর ক্ষমতাকে ব্যাহত করবে।