বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের পক্ষে সরব থাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। পরে এক সাংবাদিক তার ভিডিও বিনা অনুমতি সামাজিক মাধ্যমে ছাড়ার পর ফেসবুকে সেটার সমালোচনা করে ফের একবার আলোচিত হন তিনি। সেবারও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় ভক্তরা প্রশংসায় ভাসান তাকে। তবে এবার সেই ভক্তদের মনেই ‘কষ্ট’ দিয়ে বসেছেন।
একটি ওয়েব ফিল্মের প্রমোশন করতে গিয়ে বিভ্রান্তিকর এক ফেসবুক লাইভ করেন সাদিয়া আয়মান। যেখানে নিজের সমূহ বিপদের কথা বলে লাইভে কান্না করতে দেখা যায় তাকে। তার ১০ মিনিটের সেই ফেসবুক লাইভে ভক্তরাও ঘাবড়ে যান। ভক্তরা মনে করেন, হয়ত সাদিয়া সত্যিই বিপদে পড়েছেন।
তবে সে লাইভের কিছু সময় পরই ভক্তরা নিশ্চিত হন, আসলে সাদিয়া বিপদে পড়েননি। বরং সেটা ছিল একটি ওয়েব প্রজেক্টের প্রমোশন।
এরপরই সাদিয়া আয়মানের ওপর ক্ষুব্ধ হন ভক্তরা। প্রচারণার এমন অপকৌশল নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠেন তারা। অভিনেত্রীর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করতে থাকেন। সমালোচনার মুখে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভেট করে ফেলেন সাদিয়া।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে আলাপে সাদিয়া পুরো বিষয়টি নিয়ে অপরাধবোধে ভোগার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি তো একজন শিল্পী, যেই ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি তারা আমাকে অনুরোধ করে এরকম একটি প্রচারণা চালানোর জন্য। প্রথমে আমি তাদেরকে না বলে দেই। পরে কাজটি করলেও আমার ধারণা ছিল, সাধারণ মানুষ হয়তো বুঝবে, এটা কোনো সিনেমা বা নাটকের প্রচারণার অংশ।’
‘ফেসবুক লাইভের পর বুঝলাম মানুষ পুরো বিষয়টি নিয়ে খুব কষ্ট পেয়েছে। যেটা আমাকে খুব আহত করল। আমার নিজের কাছেই এখন খারাপ লাগছে’-যোগ করেন সাদিয়া।
পুরো ঘটনা নিয়ে সাদিয়ার উপলব্ধি, ‘দেখুন, এরকম কোনো কাজ আমার আদর্শের সঙ্গে যায় না। তবুও প্রোডাকশন হাউজের অনুরোধেই কাজটা করতে হয়েছে। যখন বুঝতে পারলাম, পুরো বিষয়টি আমার ভক্তদের আঘাত করেছে, এরপর থেকেই নিজের কাছে খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে, কাজটা করার আগে আমার অন্তত ১০ বার ভাবা উচিত ছিল।’
ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না উল্লেখ করে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘আমি জানি, এই ঘটনার পরে অনেক মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমার কাজ দিয়ে আবারও সবার ভালোবাসা ফিরিয়ে আনব। আমার ছোট ক্যারিয়ারে এমন ভুল এর আগে হয়নি। তাই আমার মনে হয়, জীবনেও এই ভুল আর কখনো করবো না।’
সাদিয়া আয়মান