২-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ। এ যেন ২০২২ সালেরই পুনরাবৃত্তি।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত গত আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচও হয়েছিল এই দুই দলের মধ্যে, ভেন্যুও ছিল একই- কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা। তবে সে হিসাবে এবার অবশ্য গোল একটি কম হয়েছে। ২০২২ সালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ নারী ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে ভুটানের বিরুদ্ধে ৭-১ গোল উৎসবে জয়ের পর বিজয়ী একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। চোটের কারণে সেমিফাইনালে না খেলা ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়রকে ফাইনালে একাদশে নেয়া হয়।
খেলা শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই বাংলাদেশের গোলের খাতা খোলার সুযোগ এসেছিল। নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুম্বাপোর বদলে গোল-কিক নেওয়ার সময় পিছলে পড়ে যান নেপালের গিতা রানা। সামনেই থাকা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড তহুরা বল পেয়ে ডি-বক্সের থেকে নেন শট। সেটা ক্রসবারে বাধা পেয়ে ফিরে আসে।
কয়েক মিনিট পর ক্রসবারই অবশ্য বাংলাদেশকেও বাঁচিয়ে দিয়েছে। দশম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। সেই সুযোগে বল চলে যায় নেপালি ফরোয়ার্ড সাবিত্রা ভান্ডারি। তার পাসে মিডফিল্ডার আমিশার দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
আক্রমণ-পালটা আক্রমণে খেলা জমে উঠলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫২ মিনিটে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। নেপালের শক্ত ডিফেন্স ভেদ করে জালে বল জড়াতে সক্ষম হন মনিকা চাকমা।
কিন্তু বাংলাদেশের এই এগিয়ে থাকার আনন্দ টিকেছে মাত্র চার মিনিট। ম্যাচের ৫৬ মিনিটেই প্রীতি রাইয়ের এক পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন নেপালি ফরোয়ার্ড আমিশা কারকি।
এরপর দুই দলই খেলায় আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে দুই দলেরই বেশ কয়েকটি সুযোগ লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গোলের সমতা কাটাতে লেগে যায় অনেকটা সময়।
অবশেষে ম্যাচের ৮১ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার করা গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশে। এই ব্যবধান আর কমাতে সমর্থ হয়নি নেপাল।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই স্বাগতিকদের উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের মেয়েরা। নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব আরো দুই বছরের জন্য রইলো বাংলাদেশেরই।