হামাস গাজায় রেড ক্রসের মাধ্যমে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। তাদের মধ্যে ছিলেন:
তাদের তেলআবিবের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে ৬৯ জন নারী ও ২১ জন টিনএজ ছেলে।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ফিলিস্তিনের সুপরিচিত রাজনৈতিক নেতা খালিদা জাররার রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্যা লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।
ফিলিস্তিনি জনগণ মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের স্বাগত জানাতে পশ্চিম তীরজুড়ে উল্লাসে মেতে ওঠে। বন্দিদের বহনকারী বাস বৈতুনিয়া শহর অতিক্রম করার সময় তাদের গাড়ির হর্ন বাজিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রবিবার ৬৩০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ৩০০টি ট্রাক গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে গেছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে।
ইসরায়েল আশা করছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে ইসরায়েল ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়েই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছে। তবে ধ্বংস ও পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখেই তাদের এগিয়ে যেতে হবে।