শ্রীলঙ্কায় কারফিউ প্রত্যাহার


Md. Nazrul Islam প্রকাশের সময় : মে ১৪, ২০২২, ৩:২৩ অপরাহ্ন / ৭৮
শ্রীলঙ্কায় কারফিউ প্রত্যাহার
Spread the love

শ্রীলঙ্কার পাঁচবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠনের কথা রয়েছে তার। এদিকে, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে দেশে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার দেশটির অর্থনৈতিক পতনের প্রতিবাদে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। সরকার সমর্থকরা আন্দোলনকারীদের মারধর শুরু করলে সর্বত্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দাঙ্গা শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়। মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগ সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। শ্রীলঙ্কার সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

দেশে দুই দিনের সহিংসতায় নয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছে সরকার। এমনকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাঙ্গাবাজদের দেখামাত্র তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। এর আগে কলম্বোতে বিক্ষোভ দমনে বেশ কয়েকবার কারফিউ জারি করা হয়েছিল। আটকও করা হয় শতাধিক মানুষকে।

আন্দোলনের মুখে মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করলেও তার ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে এখনও পদে রয়েছেন।

1948 সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর, শ্রীলঙ্কা চরম অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়। এর প্রধান কারণ বৈদেশিক মুদ্রার অভাব। কোভিড মহামারী মোকাবেলায় অক্ষমতা দেশে আরও অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ফলে তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ।

দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে 73 বছর বয়সী এই নেতা একটি মন্ত্রিসভা গঠন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


Spread the love