গত ১৩মে রাজশাহী শাহ্-মুখদুম মেডিকেলের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ডাক্তার রবিন হাসান একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে স্বাক্ষর নকল করে রোগীদের ভুয়া রির্পোট দেয়া, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকতা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র গণমাধ্যমে তুলে ধরে এবং তার পর দিনই (১৪মে) হাসপাতাল কতৃপক্ষ হতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অানা অভিযোগের বিবৃতি ও প্রকৃত কারণ দর্শানোর চেষ্টা করে। তবে, এবার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ থেকে দেয়া, সেই বিবৃতিতে যে প্রশাসনিক কর্মকতার স্বাক্ষর দেখা যাচ্ছে সেটিও একটি ভুয়া স্বাক্ষর।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অাজ ১৭ই মে ভুক্তভোগী সেই ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি বলেন, অামার সংবাদ সম্মেলন করার পর শাহ্ মুখদুম হাসপাতাল কতৃপক্ষ হতে দেয়া, একটি বিবৃতি অামার হাতে অাসে, সেই বিবৃতিতে অামি একজন মানসিক রোগী, অামি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অাইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছি তাই অামাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এমনকি অামার বাবার নামেও মিথ্যা বানোয়াট বাক্য তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে। কিন্তু পারতপক্ষে অামার কোনো মানসিক শারীরিক সমস্যা নেই অার অামাকে চাকুরি থেকে বাদ দেয়া হয়নি। অামাকে মিথ্যা অভিযোগে ১৫দিনের সময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে এখনো অামি ৩০ হাজার টাকা বেতন ভাতা বাবদ পায়, তারা সেটিও অামাকে দিতে গড়িমসি করছে। অামাকে অকারণে মারধর করা হয়েছে।
তিনি অারো বলেন, হাসপাতাল কতৃপক্ষ যে বিবৃতি দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। কারণ, ১৪তারিখের যে বিবৃতিপত্রটি জনসম্মুখে তুলে ধরা হয়েছে তা প্রশাসনিক কর্মকতা সাক্ষরিত না, সেই বিবৃতিতে সম্পর্কে খোদ অবগত না প্রশাসনিক কর্মকতা। তিনি গত কিছুদিন যাবৎ ঢাকায় রয়েছেন এবং বিবৃতি প্রকাশের দিনও তিনি ঢাকাতেই ছিলেন। অামার সাথে তার কথা হলে তিনি বিবৃতির বিষয়ে কিছু জানেন না বলেও জানান অামাকে এবং কথোপকথন চলার সম্পূর্ণ ঘটনাটির অডিও অামার কাছে রয়েছে।
এসব বিষয় নি শাহ্ মুখদুম মেডিকেলের প্রশাসনিক কর্মকতা মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি অামি জানি না, কে বা কারা অামার স্বাক্ষর ব্যাবহার করেছে, অাপনি হাসপাতালে কর্মরত মতিউরের সাথে যোগাযোগ করেন।
এদিকে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয় হাসপাতালটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের সাথে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পেরে বলেন, অামরা অামাদের কাজ সঠিক ভাবে করছি এর মধ্যে কোনো ভুল নেই।
অভিযোগকারী ডাক্তারের দেয়া তথ্য মতে, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখে হাসপাতাল কতৃক ডাক্তার রবিনকে দেয়া এক চারিত্রিক সনদে দেখা যায়, সে (ডাক্তার রবিন) একজন দক্ষ্য, অভিঞ্জ ও ভালো মানুষ। তবে কেনো ২০২২ এর ১৪মে দেয়া এক বিবৃতিতে তাকে (ডাক্তার রবিন) মানসিক রোগী এবং প্রতিষ্ঠান বর্হিভূত কার্যক্রমে লিপ্ত বলে বিবৃতি জারি করা হলো? এবং সেই বিবৃতির পক্ষে কেনোই বা প্রতিষ্ঠানটি কোনোরূপ প্রমান বা দলিল দখাতে অক্ষম?
সংগৃহীত
আপনার মতামত লিখুন :