আমরা সাধারণত যখন একাকী অথবা মসজিদে নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি অথবা মন্দির, গির্জায় যে প্রার্থনা করি আমাদের প্রথম ও প্রধান চাওয়াটি কি, নিশ্চয় বলি না আমাদের দেশের অনেক উন্নয়ন করে দাও আল্লাহ, অনেক সাজানো গোছানো ফুলের বাগানের মতন আমাদের দেশটাকে বানিয়ে দাও। আমাদের প্রধান যে চাওয়া আল্লাহর কাছে তা হলো আমার সন্তান, বাবা, মা সকলকে যেন সুস্থ থাকে এবং পরিবার যেন ভালো থাকে ভালোভাবে সৎভাবে আয়রোজগার করে চলতে পারে এবং সর্বোপরি যেন ভালো থাকে। ধনি গরিব সকলেই একই এই দোয়ায় করে থাকে। এই কথা বলার কারন দ্রব্য মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের বাইরে মাছ মাংসর কথাতো বাদ দিলাম মানুষের কাছে যখন টাকা থাকে না তখন ডিম আলু দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু সেই ডিম আলুর দাম আকাশাচুম্বী।
বাইরে থেকে দেখে মনে হবে আরে আমাদের দেশতো অনেক ভালো আছে বড় বড় বিল্ডিং বিশাল বিশাল সেতু, এলিভেটড এক্সপ্রেস, মেট্রোরেল বাইরে থেকে দেখে মনে হবে আমাদের দেশের মানুষ অনেক সুখে আছে। আসলেই কি তাই? না এতো চাকচিক্যের মধ্যে বেশী সংখ্যক মানুষ অনেক কষ্টে আছে আর্থিক কষ্টে। অনেকটা ভারতের ধর্মশালা স্টেডিয়ামের মতন বাইরে থেকে অনেক সুন্দর কিন্তু মুল যে জায়গা অথাৎ মাঠ খবুই খারাপ অবস্থা। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ছে মানুষের আয় বা বেতন একই জায়গায় রয়ে গেছে। বেতনের কোন উন্নতি নাই আর এই মানুষগুলোকে দেখারও কেউ নাই। সরকারের যেমন দায়িত্ব দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখা তেমনি বিরোধীদলগুলোরও দায়িত্ব এই বিষয়ে সোচ্চার হওয়া। কিন্তু আমরা বড় দুই দলের ক্ষমতার লড়ায়টাই বেশী দেখতে পাছি, জনগনের কথা ভাবার কেউ কি নাই। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামাজিক অবক্ষয় শুরু হবে চুরি ছিনতাই বেড়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :