ঢাকা থেকে বিআরটিসি বাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধিক বাসে করে রংপুরে এসেছেন পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। রংপুর-ঢাকা ও রংপুর দিনাজপুর মহাসড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে এসব বাস চলাচল করে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
রংপুর ডিপোর বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, রংপুরে একসঙ্গে বাস রাখার জায়গা নেই, মাঠেও রাখা যাবে না। এ কারণে সড়কে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, এসব বাস চলাচলের জন্য রংপুরে একটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, একটি ট্রাক টার্মিনাল এবং তাজহাটে একটি বিআরটিসি ডিপো রয়েছে। তারা সেখানে পার্ক করেনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর মডার্ন জংশন, ক্যাডেট কলেজ, দর্শনা জংশন, আরকে রোড, মাহিগঞ্জ, কামারপাড়া, টার্মিনাল রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গেট তালা দিয়ে সারিবদ্ধভাবে পার্কিং করা হয়েছে বাসগুলো।
মহাসড়কের দুই পাশে পার্কিং করা এসব বাসের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অন্য পরিবহনগুলো। নিয়মিত বাসগুলো ঠিকমতো টার্মিনালে প্রবেশ করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
বাস চালকরা জানান, এসব বাস রিজার্ভ করার পর রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছা, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা গ্রামে এসেছেন ঈদ উদযাপন করতে। ঈদের ছুটি শেষে এই বাসেই তারা ঢাকায় ফিরবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত বাসগুলো সড়কে থাকবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের দক্ষিণ জোনের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রুটে এসব বাস চলাচল করে। ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া পেয়ে এসব রিজার্ভ বাস এসেছে। কিছু বাস প্রধান সড়কের নিচে দাঁড় করানো হয়। এখনো কোনো সমস্যা নেই। আর চালকরাও ছুটিতে আছেন। ঈদের পর শ্রমিকরা বাসে করে কাজে ফিরবেন।
বাস চালক রফিকুল জানান, দর্শনা থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত বাস পার্কিং করা হয়েছে যার ফলে মডার্ন মোড়ে ট্রানিং সমস্যা হচ্ছে। কিছু হলে মানুষ আমাদের ধরে ফেলবে।
আপনার মতামত লিখুন :