বিভিন্ন দাবিতে বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সদর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মিছিল করেছে বাসদের নেতৃত্বাধীন ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিকরা। নগরীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখায় সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সদর রোডের সবগুলো সংযোগ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েক শ’ মানুষের অবরোধের কারণে প্রখর রোদে চরম ভোগান্তি শিকার হয় হাজার হাজার পথচারী ও যাত্রী।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী সকাল ১০টার পরপরই বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিকদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে জড়ো হয়। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে বাসদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শুরুর পরপরই তারা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোড অবরোধ করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী ও পথচারী।
জেলা বাসদ সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক হাওলাদার, দুলাল মল্লিক, গোলাম রসুল, নুরুল হক হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম, মহসিন মীর ও জোহরা রেখা প্রমুখ।
সমাবেশে ব্যাটারি চালিত রিকশরি লাইসেন্সের নামে চাঁদাবাজী হলে সর্বশক্তি নিয়ে বরিশাল অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারী দেন সভাপতি মনিষা চক্রবর্তী।
সমাবেশ শেষে মিছিল সহকারে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন এবং বিআরটিএতে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁঞা বলেন, যে কোন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের প্রতি পুলিশের অনুরোধ থাকে যাতে তাদের জনদুর্ভোগ না হয়। অনেক সময় তারা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কর্মসূচীর নামে সড়ক অবরোধ করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন নেতৃবন্দের সাথে কথা বলবে পুলিশ। আগামীতে কর্মসূচীর নামে কোনভাবেই জনদুর্ভোগ মেনে নেবে না পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :