বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিলুপ্ত না করে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় থাকবে দলটি। দলটির নেতারা বলছেন, হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পর তাদের পক্ষ থেকে আপিল আবেদন করা হয়। এখনো এর সুরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না পাওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী নামেই তারা রাজনীতি করবেন। যেহেতু সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করছে, জামায়াতও একই দাবিতে রাজপথে আছে। অন্যদিকে চলমান আন্দোলনে কী ফল আসবে, সে জন্য অপেক্ষা না করে আগামী নির্বাচনের জন্য নতুন নামে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে রাখতে চায় জামায়াতে ইসলামী। এ কারণেই বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বিডিপির নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়। আবেদনের সঙ্গে ৫০ হাজার পৃষ্ঠার সংযুক্তিও দেওয়া হয়েছে। তবে জামায়াতের দুই
কেন্দ্রীয় নেতা আমাদের সময়কে বলেছেন, জামায়াত নতুন নামে দল গঠনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, জামায়াতের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা ঠিক নয়। নতুন দল গঠন বিষয়ে জামায়াত কোনো আবেদন করবে না। প্রায় একই বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলনা আবদুল হালিম। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল। সে যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তখন তা সংবাদ সম্মেলন অথবা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। নতুন কোনো দল গঠনের বিষয়ে জামায়াত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবিতে রাজপথে
যুগপৎ আন্দোলন করা।
বাংলাদেশে দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন থাকতে হয়। জামায়াতের নিবন্ধন শুরুতে থাকলেও তাদের গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আদালতের রায়ের পর তাদের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোণঠাসা হয়ে পড়া জামায়াত থেকে বেরিয়ে কয়েকজন নেতা কয়েক বছর আগে এবি পার্টি নামে দল গঠন করে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে তারা কিছু দিন আগে ইসিতে আবেদন করেন। এখন নিবন্ধন পেতে আবেদন করল বিডিপি। দলটির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নিজেকে বিএনপির সৌদি আরব শাখার একজন নেতা বলে পরিচয় দেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানা জামায়াতের রোকন। আর বিডিপির জেনারেল সেক্রেটারি মো. কাজী নিজামুল হক নাঈম ঢাকা মহানগরের রোকন ও ছাত্রশিবিরের সাবেক বিদেশবিষয়ক সম্পাদক। এ নতুন দল গঠনের পেছনে কাজ করছেন জামায়াতের থিংকট্যাঙ্ক ও নীতিনির্ধারকরা। গত সেপ্টেম্বর মাসে সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা আমিরদের এক বৈঠকে নতুন দল গঠন এবং গঠনতন্ত্র তৈরির বিষয়টি জানানো হয়।
জামায়াতের গুরুত্বপূর্র্ণ একজন নেতা আমাদের সময়কে জানান, নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হয়। এর মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য সংখ্যাও উল্লেখ করতে হয়েছে। গত সপ্তাহে জামায়াতের উদ্যোগে দলীয় নেতাকর্মীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করা হয়। যা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
উত্তরের জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, ভিন্ন নামে জামায়াতের সংগঠন করতে সংবিধান অনুযায়ী নতুন গঠনতন্ত্রসহ নিবন্ধন পাওয়ার শর্তগুলো পূরণে অতিগোপনে কাজ করেন জামায়াতের আইনজীবীরা। ওই সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেছিলেন, ‘যখন কোনো কিছু বলার মতো হবে, তখন অবশ্যই জানানো হবে। এটা তো গোপন কিছু নয়, হলে তো আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই করব।’
গতকাল বুধবার বিডিপি নামে নতুন দলের নিবন্ধনের ব্যাপারে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা লিখিতভাবে জানতে চাইলে মতিউর রহমান আকন্দ জবাব দেননি। পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করার’ যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয়। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলাটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ‘জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল’ বলা সম্পূর্ণ অন্যায়, অযৌক্তিক ও বেআইনি। জামায়াতে ইসলামীকে অবৈধ ঘোষণা করার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েক মাস আগে দলীয় ফোরামে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রদত্ত বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে জোটে না থাকার কথা বেরিয়ে আসে। অবশ্য পরে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছিলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী আছে, জোট ছাড়েনি।’
জামায়াতের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকার কারণে সরকার তাদের ওপর রাজনৈতিক নিপীড়ন চালাচ্ছে। আগামী নির্বাচনের আগে যেভাবেই হোক প্রকাশ্যে রাজনীতিতে নামতে চান তারা।
তারা জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত বড় হচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মধ্যেও একাত্তর ইস্যুটিকে মীমাংসা করার মানসিকতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক এ লক্ষ্য সামনে রেখেই গত ২০১৯ সালের ১৬ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি দলের দায়িত্বশীলদের চিঠি দিয়ে নতুন দল গঠনের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা জানায় জামায়াতের হাইকমান্ড। ওই চিঠি দেওয়ার আগে শূরার বিশেষ বৈঠকে নতুন দল গঠনের অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে নাম কী হবে বা কবে নাগাদ নতুন নাম আসবে তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর করোনা পরিস্থিতিতে এ প্রক্রিয়া কিছুটা থেমে গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে আবারও কাজ শুরু হয়েছে। নতুন দলের ঘোষণাপত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন ও গণতান্ত্রিক প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে। জামায়াতের একাংশ মনে করে, নাম পরিবর্তন করা হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নিবন্ধন নিতে গতকাল বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে দলের জেনারেল সেক্রেটারি মো. কাজী নিজামুল হক স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। আবেদনের সঙ্গে ইসির শর্ত সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্তি আকারে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেছে বলে আবেদনে দাবি করেছে দলটি।
আবেদন জমা দেওয়ার পর দলটির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যত শর্ত আছে সবকিছু পূরণ করে আমরা আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হব এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হব। আমি দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম। আমার দলের জেনারেল সেক্রেটারি মো. কাজী নিজামুল হক। আমাদের দলের নাম বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)। আমাদের সঙ্গে নতুন প্রজন্ম আছে।’
জামায়াতের অনেকেই আপনাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না না। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলব। যা আছে আমরা পরিষ্কার করব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। তখন বিস্তারিত বলব। আমরা নিবন্ধনের জন্য এসেছি। নিবন্ধনের যত রিকয়ারমেন্ট আছে সবই ফুলফিল করে এসেছি। আশা করি এখান থেকে নিবন্ধন পাব। ৫০ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট এনেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে ইতোমধ্যে কথা শুরু হয়ে গেছে, আমরা আসলে প্রত্যাশা করিনি।’ এ সময় গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে দলটির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক এবং দলীয় চেয়ারম্যান হিসেবে তার পরিচিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান। শিগগিরই গণমাধ্যমে এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নতুন দল, নতুন প্রজন্ম। বিভিন্নভাবে তাদের আমরা সংগ্রহ করেছি। তাদের নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এখানে অন্য কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি বা সহযোগিতা আমরা ফিল করি না। এখন যদি কেউ কিছু বলে সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’
ডেমরা থানা জামায়াতের আমির ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ডেমরা চিনিই না। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।’
জাতির পিতা, বাংলাদেশ সংবিধান মানেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান মেনেই আমরা রাজনীতিতে এসেছি। সংবিধানের প্রতিটি শব্দকেই আমরা সম্মান করি এবং সেটাকে লালন করেই আমরা রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু তো জাতির পিতা। বাংলাদেশের সংবিধানের বাইরে যেতে রাজি না। আমাদের গঠনতন্ত্র দেখলে বুঝবেন। আর এখানে মুক্তিযুদ্ধের পর জন্ম নেওয়া উদ্যোক্তা যারা আছেন, তাদের নিয়েই দল গঠন করা হয়েছে।’
যুদ্ধাপরাধী কেউ দলে আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিডিপি সভাপতি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জন্মগ্রহণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম, যুদ্ধাপরাধী বানাইলে বানাইতে পারেন। আমরা এসব বিষয়ে যাব কেন? আমরা একটা রাজনৈতিক দল।’ বারবার জিজ্ঞেস করা হলেও দলটির প্রতিষ্ঠা কবে হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি।
এদিকে শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে জামায়াত ইসির নিবন্ধন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। গতকাল বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জামায়াতের কেউ যদি যুদ্ধাপরাধী না হয় এবং তাদের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, তা হলে শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধন পেতে বাধা নেই।
বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর নামে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন কোর্টের আদেশে বাতিল করা হয়েছে। কেউ নিবন্ধিত হতে চাইলে তাকে নতুন করে নিবন্ধিত হতে হবে। এ সময় তিনি স্পষ্ট করে জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গঠনতন্ত্র নিয়ে কেউ আবেদন করলে তাদের নিবন্ধন দেবে না কমিশন।
কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত, দ-প্রাপ্ত আসামিদের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়। বিডিপি তৃতীয় শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে। গতকাল তারা ৫০ হাজার পৃষ্ঠা কাগজ জমা দিয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এর পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন বাতিলের পর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নিবন্ধিত ৩৮টি দলের অডিট রিপোর্ট পাওয়া গেলেও একটি দলের এখনো পাওয়া যায়নি। পরপর তিনবার রিপোর্ট না দিলে নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। দুই-একবার এমন হলে সতর্ক করতে পারে কমিশন।
রাজনৈতিক দলের বিদেশের শাখা আছে এমন অভিযোগ এলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়ে আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। শর্তগুলো পূরণ হলেই নিবন্ধন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কমিশনের সীমিত সক্ষমতার কারণে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো শর্ত পূরণ করে চলছে কি না সেটা তদারক করা সম্ভব হয় না। শর্ত পূরণ করতে সময়সীমা বেঁধে না দেওয়া হলেও এসব বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ৩৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেও শর্ত পূরণের বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে করা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর ৩৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণের বিষয়ে শর্ত পূরণের সময় ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
সুত্র: আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :