ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যাটিং দেখলে মনে হয় অনবিজ্ঞ ক্রিকেট দল। মাঝারি টার্গেট তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ যে ব্যাটিংটা করল, সেটা দর্শকদের জন্য রীতিমতো যন্ত্রণাদায়ক। ১২০ বলের মধ্যে ডট বল ছিল ৫২টি! মানে ২০ ওভারের মধ্যে ৮.৪ ওভার কোনো রানই করতে পারেনি বাংলাদেশ!
২১ রানে হেরে যাওয়া ম্যাচে ১৬৭ রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে থামে।
যথারীতি শুরুতে দুই ওপেনারের বিদায়। আর শেষদিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা। অথচ, শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০৪ রান। হাতে ছিল ৮ উইকেট। সেখান থেকে বিরক্তিকর ব্যাটিংয়ে সমীকরণ গিয়ে দাঁড়ায় ৩০ বলে ৬৭ রান। উইকেট ছিল ৪টি। ইয়াসির আলীর ২১ বলে অপরাজিত ৪২* পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। কোনো কাজে আসেনি সেটা।
ইয়াসিরকে বাদ দিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ছিল লিটন দাসের (১৩৪.৬১)। দুই ওপেনারের স্ট্রাইকরেট জঘন্য। মিরাজ ৯০.৯০ আর সাব্বির ৭৭.৭৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাদের মুখে নিয়মিত শোনা যায় নিজস্ব ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি খেলার কথা। প্রতিটি ম্যাচেই প্রমাণ হয়ে যায়, এটাই আসলে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের ক্রিকেট। যেটার কোনো ইমপেক্ট নেই। নিশ্চিত পরাজয়ই যার লক্ষ্য।
আপনার মতামত লিখুন :