তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরের কয়েক হাজার পরিবার। গবাদি পশু-পাখি নিয়ে মানুষরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তবে চরের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে মাইকিং করা হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢলে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি একবার বাড়ছে, আবার কমছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, তিস্তার পনি বিপদসীমার উপরে কিছুটা উঠলে দুপুরে তা কমে এসেছে। তবে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি আবারও বাড়তে পারে।এদিকে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপচরগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চরের কয়েক হাজার পরিবার। বন্যার পানি থেকে রক্ষায় গবাদি পশুসহ ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন দুর্গতরা।
লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তিস্তা নদীর পানি বাড়লে আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে আমার ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিকেলে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :