সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর অংশ হিসেবে সোমবার ও মঙ্গলবার ঢাবিতে চলবে ‘বন্যার্তদের জন্য কনসার্ট’। কনসার্টের টিকেট থেকে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ টাকা বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় ব্যয় করা হবে।
আজ রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে টিএসসির সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উদ্যোক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৭ এবং ২৮ জুন দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দলগুলোকে নিয়ে টিএসসির সবুজ চত্বরে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘বন্যার্তদের জন্য কনসার্ট’। এতে ওয়ারফেজ, আর্ক, অ্যাশেজ, ভাইকিং, সোনার বাংলা সার্কাস, সহজিয়া-সহ আরও অনেক ব্যান্ড দল থাকবে তাদের পরিবেশনা নিয়ে। এই উদ্যোগে সহযোগিতায় করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এই কনসার্টের এন্ট্রি ফি থাকবে ৩০০ টাকা। এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত সকল অর্থ ব্যয় করা হবে বন্যার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রয়াসে।
সংবাদ সম্মেলনে উদ্যোক্তারা জানান, এই উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে ‘বন্যার্তদের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন’। এরই লক্ষ্যে গত ২১ জুন অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুছকে আহ্বায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসকে সদস্য সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে উপদেষ্টা করা হয়েছে।
এ উদ্যোগের সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে একটি সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে অর্থ সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। টিএসসির পায়রা চত্বরে ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’ স্থাপন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগের সদস্য সচিব অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ত্রাণ শব্দটা আমাদের পাল্টাতে হবে। জনগণের টাকায় দেশ চলে। জনগণের টাকাতেই আমাদের বেতন হয়। এখানে সুনামগঞ্জের মানুষসহ সবার টাকা আছে। তাদের একটা অংশ বিপদে পড়েছে। তাদের টাকায় তাদের সহযোগিতা করতে হবে। এটা করুণা বা দয় নয়, এটা তাদের অধিকার। কাজেই ত্রাণ শব্দটা বাদ দিতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :