রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন বলে দাবি করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তার যে সমস্ত রোগ, তা চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর কথা চিকিৎসকরা বারবার বলার পরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে না পাঠালে তার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। তিনি এখন হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। মানববন্ধন শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে। তবে পুলিশের বাধার কারণে তারা বেশি দূর যেতে পারেননি বলে তারা দাবি করেন।
এ সময় সেলিমা রহমান বলেন, যখন খালেদা জিয়া জেলে ছিলেন, তখন আমরা সন্দেহ করে বলেছিলাম- সরকার তাকে তিলে-তিলে মেরে ফেলবে। আজকে সবাই দেখতেই পাচ্ছেন, সেই কথার সত্যতা।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এত লোকের সমাগম ও অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেলিমা রহমান বলেন, কেন এতো ধুম-ধাম করা হচ্ছে? এই যে, সীতাকুণ্ডে আগুনে এতো মানুষ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে মারা গেছেন। কই, সে ব্যাপারে তো দায়ী কাউকে ধরতে পারলো না! এই ব্যাপারে তো সরকারের কোনো জবাবহিদিতা নেই। নিহত এবং আহতদের পরিবারের জন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। কিন্তু তারা ঠিকই পদ্মা সেতু নিয়ে ধুম-ধাম করছে।
দেশে এখন দুই ধরনের আইন চলছে বলে মনে করেন এই নেত্রী। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইন মেনে গেছেন। আমি জানতে চাই, হাজী সেলিম যেতে পারলে কোন আইনের কারণে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না?
মানববন্ধনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ৬৪ জেলায় অনুষ্ঠান করছেন। কার টাকায় এই অনুষ্ঠান করছেন? আপনারা জনগণের টাকায় উল্লাস করছেন, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তিনি সঠিক চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি পায়ে হেঁটে জেলে গেলেন, আর হুইল চেয়ারে করে ফিরলেন। আপনারা জেলে কী এমন করেছেন, যাতে তার আজ এই অবস্থা। দেশের মানুষ এটা জানতে চায়।
আপনার মতামত লিখুন :