হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি নিয়েই এবার মায়ের জানাজা পড়লেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম রেজা। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।
স্বজনরা জানান, সেলিম রেজার মা নাসিমা অসুস্থ হয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মারা যান। মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তিনি। পরে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোল পান।
তবে তার মুক্তি নিয়েও টালবাহানা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশি পাহারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুরের বাসায় পৌঁছান সেলিম রেজা। সোয়া ৩টায় নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন তিনি। জানাজা শেষে ৪টার দিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা ছিলেন সেলিম রেজা।
জানাজায় উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, জানাজার সময়ও সেলিম রেজার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। এতে জানাজায় উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এতে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা জুয়েল মৃধা বলেন, ‘জানাজার সময় পুলিশকে আমরা ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের অনুরোধ আমলে নেয়নি। দাফনের আগেই সেলিমকে নিয়ে পুলিশ আবার কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিষয়টি অমানবিক। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের সিনিয়র নেতা ও অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজাকেও আটক করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ান গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম। সেসময় তাকেও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :