জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইভিএমের জন্য ৫৩৪ গাড়ি কিনবে নির্বাচন কমিশন ইসি


Md. Hasib Uddin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২২, ৩:৩১ পূর্বাহ্ন / ৮১
জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইভিএমের জন্য ৫৩৪ গাড়ি কিনবে নির্বাচন কমিশন ইসি
Spread the love

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড়শ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য নতুন করে দুই লাখ ইভিএম মেশিন ক্রয়ে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি ইভিএম ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা যা আগের দামের তুলনায় ১ লাখ টাকা বেশি। আগের দেড় লাখসহ মোট সাড়ে তিন লাখ ইভিএম মেশিন পরিবহনে ৫৩৮টি ডাবল পিকাপ গাড়ি ক্রয়ের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে ইসির নতুন প্রকল্পে। প্রতিটি গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ৪৯ লাখ টাকা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে।

৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পে ইভিএমের জন্য পৃথক অনুবিভাগ করার কথাও বলা হয়েছে। ২ লাখ ইভিএম ক্রয়ের খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ইভিএম কাস্টমাইজ সেন্টার স্থাপন, অঞ্চলভিত্তিক ওয়ারহাউস নির্মাণ, ইভিএম সংরক্ষণ ও পরিবহনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া ভোটার শিখন জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দেশব্যাপী নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বৃদ্ধি বাবদ ২০৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ইসির প্রকল্প ব্যবস্থাপনার খরচ ধরা হয়েছে ৬৯০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদকাল চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। ইভিএম মেশিন পরিবহনে ৫৩৮টি ডাবল পিকাপ ক্রয়ের পাশাপাশি ৯৪ লাখ টাকায় ১টি জিপ, প্রতিটি ৫৭ লাখ টাকা করে ৩টি জিপ ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব গাড়ি ক্রয়ে ডিপিএম (সরাসরি ক্রয়) পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে দেশের ৬৪ জেলাকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে ১০টি ওয়ারহাউস নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। সফটওয়্যার ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

নতুন প্রকল্পে ইসির নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটউটের বেজমেন্টে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাস্টমাইজেশন সেন্টার স্থাপন করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। এ ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১১৯৫ জন কর্মী নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এগুলো কেনা হয় প্রায় চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে। এসব ইভিএমের মাধ্যমে ৭০-৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্ভব। একই দিন ১৫০ আসনে ভোটের আয়োজনে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে তিন লাখ ইভিএম।


Spread the love